ভালোবাসা নিয়ে কিছু কথা
👉বর্তমান_ভালবাসা👈
নরম স্ত/নে হাত রেখে কায়দা করে
ভালোবাসা
নামের কীটটা জাগিয়ে তুলা
আজকালকার
ফ্যাশন হয়ে গেছে।
ভালোবাসার উক্তি
,,
প্রেমিকার ব্রা/র
সাইজটা
জানেনা, এমন একজন সৎ প্রেমিক
পাওয়া
বর্তমান যুগের জন্য হাস্যকর ব্যাপার
একটা।
true love ভালোবাসার উক্তি
,
পার্কের চিপায় চিপায় যে পরিমাণ
ভালোবাসা লেনদেন হয় তার চাইতে
বহুগুণ
বেশি মে/সে/ঞ্জা/রে হয়ে থাকে।
সত্যিকারের ভালোবাসা নিয়ে স্ট্যাটাস
,
খোলামেলা
পরিবেশের প/র্ণ সা-ই-ড-গুলির প্রতি
আসক্তি
বেড়েই চলছে অনবরত।
প্রেমিকার মনে
আজকাল ভালোবাসা খুঁজার চাইতে
প্রেমিকার কোমরে ভালোবাসা
খুঁজা হয় খুব
করে।
ভালোবাসার ছন্দ কষ্টের স্ট্যাটাস
।
হুড তুলা রিক্সাগুলি আজকাল কারণ
হিসাবে
বাবা মা ভাই বোন অথবা ফ্যামেলির
কোনো
মেম্বারের প্রতি ভয়টা খুঁজে পাওয়া
যায়না।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা উক্তি
।
প্রেমিকার তলপেটে হাত বুলিয়ে স্বর্গ
খুঁজে
দেওয়ার নিয়মটাই পাওয়া যায়।
।
আজকালকার যুগে বাসর রাতের
গোপনীয়
কথাগুলো দুলাভাই অথবা ভাবীর
কাছে যেয়ে
শুনতে হয়না। এখন প্রতিটা ফিল্মেই
শিখিয়ে
দেওয়া হয় কীভাবে বিয়ের আগে মধু
খেয়ে
মৌমাছিকে তাড়িয়ে দিতে হয়।
।।
বইয়ের
পাতায় শিখানো হয়
বাচ্চা ড্রপের কাহিনী।
।
ভালোবাসার ফেসবুক স্ট্যাটাস
ক-ন-ড-মে-র উপকারিতার কথা স্পষ্টভাবে
ক্লাস
টেনের কৈশোর ছেলে মেয়ের
জানিয়ে
দেওয়া হয়।
.
কষ্টের ভালোবাসার গল্প
হোটলে নিরিবিলি পরিবেশ তৈরি
করে
দেওয়া হয়। একজন প্রেমিক তার
প্রেমিকার
সাথে একান্ত নিরিবিলি কথা
চালিয়ে যায়
দিব্বি করে। হুড তুলা রিক্সার অসম্পূর্ণ
কাজগুলি সম্পূর্ণ হয় হোটলের রুমে।
বিয়ের
আগে সুখ দেওয়া নেওয়া হয় নিয়ম করে।
.
ভালোবাসার কথা
ডিজিটাল যুগে সে----ক্সে--র প্রতি
যেভাবে
ছেলেরা আসক্ত ঠিক তেমনি
মেয়েরাও
আসক্ত। সার্চ ই-ঞ্জি-ন চেক করলে
সবচেয়ে
বেশি প--র্ণ সাইডগুলিই হু-ম-ড়ি মে--রে
চোখের
সামনে ঝলমল করে।
।
কষ্টের কিছু কথা ভালোবাসার
পুরাতন যুগের
ভালোবাসার
কথা জানালে মেয়েটা বলে উঠে
তোমার
কাছে আমার ফিলিংসের কোনো মুল্য
নেই।
সে----ক্সু----য়া--ল চ্যাটিং করলে ফিলিংস
বুঝে। ভদ্র
ভাষায় চ্যাটিং করলে ভালোবাসাই
চিনেনা।
।
এটাই কি ভালবাসা?
,
ভালোবাসার ইমোশনাল স্ট্যাটাস
এরকম ভালবাসার চাইতে
আমি একা আছি তাই ভালো ।
চাইনা অমন ভালবাসা
সবাই এক না সব ছেলে এক না সব মেয়ে ও এক না
আর কথা গুলো কাউকে উদ্দেশ্য করে না
ভুল কিছু বললে মাফ করবেন
ভালোবাসার গল্প
" জান তোমার নগ্ন বুকের তিল দেখতে ইচ্ছে করছে। একটা ছবি তুলে দাও।"
মেসেঞ্জারে অনলের মেসেজ দেখে চোখমুখ ম্লান হয়ে গেছে তৃপ্তির। এসব ছবি তুলতে গেলে ঝামেলা লাগে তার কাছে। রাত হলেই অনলের তৃপ্তির সাথে ফোনের অপরপ্রান্তে বসেই রোমান্স করা চাই। তৃপ্তি মেসেজ টাইপ করলো,
" এখন ইচ্ছে করছে না গো।"
" তাহলে ভিডিয়ো কল দেই? জামাকাপড় খুলে শুধু ফোনটা সামনে ধরো।"
তৃপ্তির অসহ্য লাগে। দীর্ঘ তিন বছরের সম্পর্কে ছয়মাস হলো অনল এরকম অশালীন আবদার করে। এ-র আগে কখনো এসব কথাবার্তা বলতো না অনল। প্রথম প্রথম তৃপ্তির ভয় করলেও পরে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। তার ভালোবাসার মানুষই তো! বিয়ে হলে তো এমনিতেই সবকিছু অনলের। তবুও তৃপ্তি কখনো ভিডিও কলে ওসব করে না। কোথাও যেনো মনের ভেতর একটা সুপ্ত ভয় কাজ করে। যদি ভিডিও কোনোভাবে ভাইরাল হয়ে যায়? এসব ভেবে ছবি তুলে দিবে বলেই সিন্ধান্ত নিলো তৃপ্তি। উনিশ বছর বয়সী তৃপ্তি তার ভালোবাসার মানুষের আবদার কখনো ফেলতে পারে না। অনলের মিষ্টি মিষ্টি কথায় তৃপ্তি পৃথিবীর সকল বাস্তবতা ভুলে যায়।
" না। আমি ছবি তুলে দিচ্ছি অপেক্ষা করো।"
অনলের ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা ফুটে উঠেছে। অনল একটা ব্যাচেলর মেসে তিন বন্ধুর সাথে থাকে। তৃপ্তির মেসেজ দেখে বাকি তিন বন্ধুও হেসে উঠলো।
" ঠিক আছে। একবার দেখেই ডিলিট করে দিবো সোনা।"
" আমি জানি তো তুমি ডাউনলোড করো না ছবি। আদর করা শেষে ডিলিট করে দাও। ওয়েট পাঁচ মিনিটে আসছি।"
তৃপ্তি ঘরের দরজা ভালো করে বন্ধ করে দেয়। অন্ধকার ঘরে বিছানায় শুয়ে অনাবৃত শরীরের স্থিরচিত্র ধারণ করে ফোনের ক্যামেরায়। বলা বাহুল্য অন্ধকারে ফোনের ক্যামেরায় ফ্ল্যাশ জ্বলে।মিনিট ছয়েক পরে ফের অনলাইনে এক্টিভ হয় তৃপ্তি। মেসেঞ্জারে ঢুকতেই অনলের দু'টো মেসেজ শো করে।
" কই তুমি? তাড়াতাড়ি দাও ছবি। উফ আর সহ্য হচ্ছে না সোনা।"
তৃপ্তি ছবিগুলো পরপর পাঠিয়ে দেয়। অনল ছবিতে লাভ রিয়াক্ট দেয়।
" উফ মামা! তোর প্রেমিকার বডির সাইজ জোশ। শরীর তো পুরাই মাখন। এই মামা কতদিন এরকম ফোনে ছবি দেখে শান্ত হবো আর? একদিন রুমে নিয়ে আয় না!"
আদিল উত্তেজিত হয়ে অনলের হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে তৃপ্তির ছবিতে ঠোঁট ছুঁইয়ে বললো। ওর অবস্থা দেখে বাকিরা হাসলো একসাথে। অনল হেসে বললো,
" আরে বলদ এই মেয়েকে একসাথে সবাই খেতে গেলে তো আর এরকম ইনকাম করতে পারবো না। মেয়ের কি অভাব? বাকিগুলো দিয়ে স্বাদ মেটা। আপাতত নতুন এটাকে দিয়ে কিছু টাকা কামিয়ে রাখি।"
অনলের বাকি তিন বন্ধু সম্মত হয় অনলের সাথে। পনেরো মিনিট পরে অনল ফের তৃপ্তিকে মেসেজ করে।
" ছবিগুলো আনসেন্ড করো। উম্মাহ জান আমাকে শান্তি দেওয়ার জন্য। "
" ভালোবাসি অনল।"
" আমিও ভালোবাসি। শুভ রাত্রি। "
তৃপ্তির কিছু বলার থাকলেও আর সুযোগ হয় না। অনলকে এখন আর নক করে পাবে না। তৃপ্তি জানে অনল ডাটা অন রেখেই ঘুমিয়ে যায়। বোকা মেয়েটা এতটুকু বোঝে না প্রয়োজন ফুরাতে আর রিপ্লাই আসে না ওপাশ থেকে। তৃপ্তি ফোন রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করে। আর অনল ফেইক আইডি দিয়ে তৃপ্তির নগ্ন ছবিগুলো অন্য ছেলেদের কাছে দিয়ে চ্যাট সেক্স করে। কলে মেয়েদের মতো ভয়েস করে ছেলেদের কাছ থেকে টাকাসহ বিভিন্ন জিনিস আদায় করে। অথচ তৃপ্তি এসবের কিছু জানে না! অনলের প্রকৃত রূপ হয়তো একদিন ঠিক তৃপ্তির সামনে আসবে। কিন্তু সেদিন হয়তো খুব দেরি হয়ে যাবে।
সমাপ্ত
আমাদের সমাজেও তৃপ্তির মতো অনেক মেয়ে আছে। আদতে আমরা তাদের নষ্টা বললেও কখন কার সাথে এমন ঘটে বলা যায় না। ভালোবাসার নামে যেসব ছেলেরা নোংরামি করে তারা কখনো প্রকৃত ভালোবাসে না। মেয়েরা এখুনি সচেতন হও। বিশ্বাস করো তবে অন্ধ বিশ্বাস নয়।
-অণুগল্প_প্রেম_আজকাল
-তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া
-ভালোবাসা_প্রতি_অবিশ্বাস