বাস্তব জীবন বড়ই কঠিন | বাস্তব শিক্ষনীয় গল্প

 বাস্তব জীবন নিয়ে গল্প

বাস্তব জীবন নিয়ে গল্প

অভাব কাকে বলে ? 😢😢😥

অর্থনীতি ক্লাসে ব/য়/স্ক একজন স্যার, রুমে ঢুকেই সামনে বসা ছেলেটিকে প্রশ্ন করলেন, 

বলো তো, অভাব কাকে বলে ?


-'অ/র্থনী/তিতে বস্তুগত বা অবস্তুগত কোনো দ্রব্য পাওয়ার আ/কা/ঙ্খা/কে 'অভাব' বলে।' 

ছেলেটি উত্তর দিল।


-এটা তো অর্থনীতির ভাষা, 

সাধারণ ভাবে অভাব কাকে বলে ? অর্থাৎ 'অভাব' বলতে তুমি ঠিক কি বোঝ ?


ছেলেটি মাথা নিচু করে বে/ঞ্চে/র দিকে তাকিয়ে আছে। 

কি বলবে ভাবছে সে।

স্যার আবার তাড়া দিলেন 

'বল' ...


ছেলেটি এবার বলতে শুরু করল।


১। আমি কলেজে আসার সময় মা আমাকে ভাড়া দিতে গিয়ে তার ব্যাগ তন্ন তন্ন করে খুঁজে অনেক কষ্টে ২০/৩০ টাকা বের করে দেন, 

আর আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে ৫/৭ মিনিট পর বাড়িতে ফিরে ভাড়ার টাকাটা মাকে দিয়ে বলি, মা! আজ কলেজে ক্লাস হবে না। 

মা তখন বলেন, আগে খবর নিবি না ক্লাস হবে কিনা ? 

মায়ের সাথে এই লু/কোচু/রি হচ্ছে 'অভাব'।


২। বাবা যখন রাত করে বাড়ি আসেন মা তখন বাবাকে জিজ্ঞেস করেন এত রাত হলো কেন ফিরতে ? 

বাবা বলেন, 'ওভারটাইম' ছিল। 

'ওভারটাইম' না করলে সংসার কিভাবে চলবে ? বাবার এই অতিরিক্ত পরিশ্রম হচ্ছে আমার কাছে 'অভাব'।


৩। ছোট বোন মাস শেষে প্রাইভেট টিচারের টাকা বাবার কাছে চাইতে যখন সং/কোচ/বোধ করে সেটাই 'অভাব'।


৪. মাকে যখন দেখি ছেঁ/ড়া কাপড়ে সে/লাই দিতে দিতে বলে কাপড়টা অনেক ভাল আরো কিছুদিন পরা যাবে এটাই 'অভাব'।


৫। মাস শেষে টিউশনির পুরো টাকাটা মায়ের হাতে দিয়ে বলি, 

মা এটা তুমি সংসারে খরচ করো, 

মা তখন একটা স্বস্তির হাসি হাসেন। 

এই স্বস্তির হাসি হচ্ছে 'অভাব'।


৬। বন্ধুদের দামী স্মার্টফোনের ভিড়ে নিজের ন/র্মাল ফোন লজ্জায় যখন লুকিয়ে রাখি এই লজ্জাই আমার কাছে 'অভাব'।


৭। অভাবী হওয়ায় কাছের মানুষগুলো যখন আস্তে আস্তে দূরে সরে যায়,এই দূরে সরে পড়াটাই আমার কাছে 'অভাব'। ....


পুরো ক্লাসের সবাই দাঁড়িয়ে গেল! 

অনেকের চোখে জল! 


স্যার ও চোখের জল মুছতে মুছতে ছেলেটিকে কাছে টেনে নিলেন।💝


বস্তুতঃ আমাদের সহপাঠীদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে, 

যারা কয়েক মাস অপেক্ষা করেও বাড়ি থেকে সামান্য টাকা পায় না। 

সব দুঃখ-কষ্টকে আড়াল করে হাসিমুখে দিনের পর দিন পার করে দেয় খেয়ে না খেয়ে!

তাদের হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা কষ্ট টুকু বুঝার সুযোগ হয়তো আমাদের হয়ে ওঠে না!

এটাই বাস্তব !

বাস্তব জীবনের স্ট্যাটাস

আজ মাংস রান্না হয়েছে।সুজন খুব খুশি,আজ পে'ট ভরে ভাত খাবে।খেতে বসেছে তখন রান্নাঘর থেকে মায়ের কর্কষ স্বর!


" সারাদিন বসে থাক আর খা।কি শান্তি,যতদিন বাপ বেঁচে আছে শান্তি করে নে।শুধু খাওয়ার জুত।বসে থেকে তোকে কে মাংস খাওয়াবে? "


মায়ের কথায় সুজনের চোখ জলে ছলছল করে উঠলো।চাকরির চেষ্টা তো সে কম করছে না!ক্ষুদার্ত পে'টেই উঠে চলে গেলো অজানার পথে।


একটা রেস্টুরেন্টের মালিকের হাতে পায়ে ধরে একটা কাজ জোগাড় করলো।বেতনের টাকা কিছু করে জমিয়ে তিন বছরের টাকায় টিনশেট হোটেল তৈরী করলো।ভাগ্য সুপ্রসন্ন।দু"বছরেই টিনশেডের দোকানে দালান উঠলো।পনেরো জন শ্রমিক।


সুজন ক্যাশে বসে থাকে।কর্মচারী নজরুল এসে বললো " ভাই আপনার বাবা মা এসছেন রেস্টুরেন্টে।আপনার সাথে খেতে চান "


সুজনের চোখে বেদনা এবং সুখ মিশ্রিত অশ্রু।খেতে বসে সুজন কর্মচারীকে বললো " নজরুল,মায়ের প্লেটে মাংস দাও তো "


পাশ থেকে ছোট বোন বললো " দাদা,মা তো মাংস খায় না।তোকে সেদিন বলার পর থেকে মা মাংস খাওয়া ছেড়ে দিছে।সবসময় বলে " যদি জানতাম ছেলেটা এই এতো কষ্ট পাবে তাহলে কখনো বলতাম না।মায়ের সব কথা কি ধরতে আছে?মা কি সন্তানের খারাপ চায়?! "


বোনের কথা শুনে মায়ের দিকে তাকালাম।মা আঁচলে মুখ ঢেকে কাঁদছে।আমিও কাঁদছি।সেদিন বাড়ি থেকে চলে আসার পর থেকে আমিও মাংস মুখে তুলিনি।


গল্প-মায়ের_কথা

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 

বাস্তব জীবনের কিছু গল্প

"ক্ষুদার্ত পেটে একটি হোটেলে গিয়ে জিঙ্গেস করলাম" ভাই এখানে কি ভাত পাওয়া যাবে।


'হ‍্যাঁ যাবে। 


'ভাতের প্লেটের দাম কতো টাকা। যদি একটু বলতেন খুব ভালো হতো।


'এক প্লেট ভাত এবং ভাজি ৩০ টাকা।


'শুধুমাত্র ভাত এক প্লেট কতো টাকা ভাই।


'২০ টাকা' ভাত দিবো কি?


'নাহ ভাই থাক অন‍্য কোন একদিন আপনাদের হোটেলে এসে পেট ভরে খাবো ইনশাআল্লাহ।


'আমার কথাটি শুনে হোটেলের ওয়েটার একটু বিভ্রান্তিকর হয়ে বললো" কি ভাই এখানে কি মজা করতে আসছেন নাকি যতোসব।


'ওয়েটারের কথাটি শুনে মাথা নিছু করে হোটেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম এমন সময় পিছন থেকে কেউ একজন বললো" ভাই একটু দারাবেন।


'হ‍্যাঁ বলুন। 


'আপনি হয়তো অনেক ক্ষুদার্ত' কিন্তু আপনার কাছে টাকা নেই "এই জন‍্যে ভাত খেলেন না।


'মাথা নিছু করে বললাম" হ‍্যাঁ ভাই আমি ক্ষুদার্ত কিন্তু আমার কাছে ১০ টাকা ছারা একটি টাকাও নেই। তাই চলে যাচ্ছি অন‍্য একদিন এসে খাবো।


'ভাই একটি কথা বলি'


'জ্বী বলুন'


'আমি আপনাকে খাওয়াতে চাই ছোট্ট ভাই হিসেবে। যদি কিছু মনেনা করেন।


'এটা কেমন হয়না। 


'প্লিজজজ ভাই আপনি না করবেন না। ছোট্ট ভাইয়ের অনুরোধটা রাখেন। 


'ছেলেটির কথা শুনে রাজি না হয়ে পারলাম না 

বললাম "ঠিক আছে খাবো।


'খাবো কথাটি বলার সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটি আমাকে সেই হোটেলে পেট ভরে খাওয়া দাওয়া করালো। এবং ২০০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো " ভাই বাসায় যাওয়ার সময় খরচ করিয়েন?


'ছেলেটির এমন মনুষ্যত্ব দেখে বেশ আশ্চর্য হলাম' আর মনে মনে বলতে লাগলাম সত‍্যি এই পৃথিবীতে অনেক-অনেক ভালো মানুষ বেছে আছে।


'আমাদের দায়িত্ব অন‍্যে খারাপ সময়ে তার পাশে থাকা

তাকে মানুষিক ভাবে সাপোর্ট করা।


অনুগল্প:-পাশে_দাড়ানো 

কাহিনী ও লেখনীতে:-মি_হাসিব

বাস্তব জীবনের শিক্ষণীয় গল্প

"১ হাজার টাকা দিলাম প্রাইভেটের "কিন্তু বাকি টাকাটা ফেরত দিলেনা কেনো সুইটি।


'আমার কাজে লেগেছে।


'আশ্চর্য তোমার প্রাইভেটে টাকা লাগে ৩০০ টাকা। 

মন করলাম দুইশত টাকা খেয়েছো বাকি পাঁচশত 

টাকা কোথায় হ‍্যা।


'তুমি এমন কেনো বাবা। মাত্র এক হজার টাকার 

জন‍্যে এমন ঝগড়া করতেছো।


'একটি টাকা রোজগার করনাতো তাই টাকা

কি জিনিস এইটা বুঝোনা।

যখন টাকা কামাই করবে তখন ঠিকেই বুজতে পারবে।


'আসলে বাবা টাকাটি!


'বলো সম‍্যা নেই আমি তোমাকে কিচ্ছু করবোনা।


'বাবা আমার সঙ্গে মিতা ও মিতু দুই জমজ বোন 

প্রাইভেট পরে। 

কিন্তু ওদের বাবা বেছে নেই। 

তাই প্রাইভেটে টাকা দিতে পাচ্ছিলোনা। 

এই দিকে স‍্যারও অনেক কথা শুনাচ্ছিলো ওদের।

তাই আমি ওদের টাকাটি দিয়ে দিয়েছি। 

প্লিজজজ বাবা আমাকে ক্ষমা করে দাও। 


'মেয়ের কথাটি শুনে বাবাটি বেশ অবাক হয়ে যায়।

তার সন্তান এই অল্প বয়সে মানুষ সেবা

করা বুঝতে পেরেছে।


'কি হলো বাবা রাগ করছো।


'সন্তানের কথায় বাবা খুশি হয়ে "মাথায় হাত বুলিয়ে

দিয়ে বলতেছে। 

তোমার ওই বান্ধাবিদের পরাশুনার দায়িত্ব আমি নিবো।

তুমি কি এতে খুশি। 


'হ‍্যাঁ বাবা অনেক খুশি অনেক।


'ঠিক আছে।

শোন মানুষের এইভাবেই সাহায্য করতে হয়।


'আচ্ছা বাবা।


'সত‍্যি মানুষের ম*নুষ্য*ত্বটাই অনেক বড়।

মনু*ষ্য*ত্ব ছাড়া কেউ মানুষ হতে পারেনা।

আমরা গরিব দুঃখিদের পাশে দিবো। এতে ওরা একটু

সান্তি পাবে।


অনুগল্প: মনুষ্যত্ব 

কাহিনী ও লেখনীতে : মি_হাসিব


মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প পড়ুন।