ভালোবাসার কষ্টের স্ট্যাটাস | স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

 সেরা ভালোবাসার গল্প

সেরা ভালোবাসার গল্প

মাঝরাতে আদর পেতে ইচ্ছে করছে।স্বামীকে বললাম " আমার বু!কে একটু হাত দিয়ে দেখো,কেমন ধুকপুক করছে! "


স্বামী আমার গাধার দশ নাম্বার বাচ্চা।রোমান্টিক বিষয়টা কি সেটাই সে জানেনা।তার লজ্জা আবার মেয়েদের থেকে কয়েকগুণ উপরে।তাই আদর নেওয়ার কথাটা স্বামীকে একটু পেঁচিয়ে বললাম।


কিন্তু পাকোরা মার্কা স্বামী আমার বু!কে রুমাল রেখে সেই রুমালের উপর হাত রাখলো।কি কপাল আমার! স্ত্রীর শ!রীরে হাত দিতেও তার রুমালের প্রয়োজন হয়! 


ভেবেছিলাম বিয়ের পর স্বামীর সাথে ফা!টিয়া প্রেম করবো।কিন্তু এই পাকোয়া মার্কা স্বামী প্রেম তো দূরে থাক,লজ্জায় সবসময় তটস্থ থাকে।


ঠিক করলাম যে করেই হোক আজ ওর থেকে আদর নিয়েই ছাড়বো।রোমান্টিক কিছু কথা বলতে হবে।স্বামীর গা"লে হাত রেখে নেশালো স্বরে বললাম 


" এতো লজ্জা কিসের গো? আমার সবকিছু তো তোমারই "


আমার পাকোরা মার্কা স্বামী লজ্জায় কেঁচোর মতো মোচরাতে মোচরাতে বললো " ইয়ে মানে! "


ভাবলাম জান,সোনা,এসব বললে হয়তো ওর লজ্জা কে'টে যাবে।টানা স্বরে বললাম " জাননন! "


স্বামী হকচকিয়ে জবাব দিলো " কই যাবো?এতো রাতে যেতে বলছো কেন? "


গল্প-পাকোরা_স্বামী

লেখকঃ-জয়ন্ত_কুমার_জয়

ভালোবাসার গল্প

কলেজের সিনিয়র একটা মেয়েকে ভালোবাসতাম।ভয়ে,লজ্জায় বলতে পারিনা।সিদ্ধান্ত নিলাম আজ বলবোই বলবো।


উনি উপন্যাস খুব পছন্দ করতেন।সারাদিন বইয়ে মত্ত থাকতে দেখে ঠিক করলাম উপন্যাসের মাধ্যমেই তাকে ভালোবাসার কথা জানাবো।


এক বিকেলে ক্লাস শেষে ওনার কাছে গেলাম।আমায় দেখে উনি বললেন " কি অবস্থা তোমার,পড়াশোনা কেমন চলে? "


" ভালো "


" আজ তাড়া আছে একটু,বাড়ি যাই "


" একটা সমস্যার কথা বলতাম।পিঠা খাওয়ার সময় হবে? "


উনি একটু ভেবে বললেন " আচ্ছা "


ওনার দিকে তাকিয়ে আছি।গরম পিঠার স্পর্শ ঠোঁ"টে লাগার সঙ্গে সঙ্গে উনি জিভ দিয়ে ঠোঁ!ট ভিজিয়ে নিচ্ছেন,এই দৃশ্য নিষিদ্ধ আনন্দের থেকেও বেশি আকর্ষনীয়।


উনি বললেন " কি সমস্যার কথা বললে না যে? "


" উপন্যাসে এক নায়িকার প্রেমে পড়েছি।নায়ক চরিত্রে আমি থাকতে চাই "


" বেশ তো "


" নায়িকার চরিত্র আপনি হবেন? "


উনি হাসি চেপে রেখে বললেন " উপসংহারে বিচ্ছেদ না হলে নায়িকা চরিত্রে থাকতে পারি "

গল্প-প্রেম_নিবেদন

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 

কষ্টের ভালোবাসার গল্প

বাবা মায়ের আবারো ঝগড়া।ঘটনা বোঝার আগেই মায়ের গা"লে প্রচন্ড একটা চ"ড় বসিয়ে দিলো।


চ"ড় খেয়ে মায়ের বেগ লাগাম ছাড়া অবস্থা।বাবাও কম কিসে! মায়ের মুখে,পি"ঠে বেদম প্র"হার করছে।মায়ের মুখে তখনো অনার্গল গা"লিগা"লাজের তুবড়ি ছুটছে। 


এটা শুধু আজকের না,রোজকার ঘটনা।বাবা মায়ের মধ্যে রোজ ঝামেলা হয়।মার"পিটটা ওদের কাছে খুব সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে।


কিন্তু বিষয়টা আমার সহ্যর বাহিরে চলে গেলো।আর সহ্য করা যায় না।সারাদিন কলেজ,কোচিং শেষে বাড়িতে এসে প্রতিদিন এমন ঝগড়া, মা"রপিট দেখতে কার ভালোলাগে?


বাবাকে বললাম " বাবা তোমরা একটা দিন ভালোভাবে থাকতে পারো না?ঘরে যুবতী মেয়ে রেখে তোমরা এখনো এমন করো,আমার কেমন লাগে বলোতো? "


বাবা রেগে বললো " বেশি কথা ফুটেছে মুখে তাই না? আমার টাকায় খেয়ে খুব কথা শিখেছিস দুই মা বেটি "


এমন কথা শুনে আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না।কোচিং ব্যাগটা ছুঁড়ে মেঝেতে ফেলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলাম।রাগে,কষ্টে কান্না চলে এলো।চোখ মুছতে মুছতে শহরের ফুটপাতে হাঁটছি। 


সবকিছু আগের মতোই থাকলো।ওই রাতে শুধু একটা নতুন পরিচয় পেলাম।ধ"র্ষিতা!


গল্প-নতুন_পরিচয়

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়

দূর থেকে ভালোবাসার স্ট্যাটাস

স্কুল পিকনিক থেকে মেয়েকে নিয়ে ফিরে বুঝতে পারলাম স্ত্রী পালিয়েছে।আলমারির টাকা,গহনা সব সাথে নিয়ে গেছে।


মেয়ের বয়স ৮।সৎ মা যদি কষ্ট দেয়!এই ভেবে দ্বিতীয় বিয়ে করলাম না।


সময় কাটতে লাগলো।মেয়ের বয়স ১৭।আশেপাশে অনেক কিছুই পরিবর্তন হলো,সঙ্গে স্ত্রীর মন ও।সে ফিরে আসতে চায়।বিষয়টা নিয়ে একরাতে মেয়ের ঘরে গেলাম।


 " বাবা, এখনো ঘুমাওনি? "


" একটু কথা ছিলো "


" ওই মহিলা ফিরে আসতে চায়,সে ব্যাপারে? "


" কি করবো বুঝতে পারছি না "


" না মানে না।কক্ষনো না।ওই মহিলাকে আনলে আমি এই বাড়িতে থাকবো না "


" মানুষ তো ভুল করেই,তাই না!একটা সুযোগ যদি পেতো,বোধহয় শুধরে যেত "


মেয়ে রেগে বললো " এ কেমন ভালোবাসা! ওনার প্রতি তোমার রাগ হয় না?অন্য জনার সাথে ভেগে গেলো,এখন ফিরে আসতে চাচ্ছে তুমিও মাফ করে দিবা? "


আর কথা বাড়ালাম না।বেড়িয়ে আসলাম।মেয়ে ঘর থেকে চেঁচিয়ে বললো " যা ইচ্ছে করো।একটা কথা আছে না,প্রেমের ম"রা জলে ডুবে না।তোমার হইছে সে অবস্থা।আমার কথা কেন শুনবা,আমি তে এ বাড়ির তো কেউ না।আর বাড়িটাও আমার না "


জানি উচিত না।তবুও, মন তো মানে না।ভালোবাসলে যে কোনো দোষই চোখে পড়তে চায় না।তবে মেয়ের শেষ কথাটায় ভিষণ আ"হত হলাম।কে বলেছে এই বাড়ি ওর না?  


পরেরদিনই বাড়ির সামনে নেমপ্লেটে লিখে দিলাম " মেয়ের বাড়ি "।বিয়ে হলেও এই বাড়িটা মেয়েরই থাকবে।একান্ত আশ্রয়স্থল।


একদিন মেয়ে আমার হাত ধরে বললো " আমি সারাদিন কলেজ প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত থাকি।তোমার একজন সঙ্গী প্রয়োজন।তুমি চাইলে বিয়ে করতে পারো,যাকে ভালোবাসতে তাকেও করতে পারো।মানা করবো না "


বুঝলাম,মেয়েও কারো প্রেমে পড়েছে, ভালোবাসে।তাইতো ভালোবাসার মানুষটাকে হারানোর কষ্ট,সাথে ফেরত পাওয়ার খুশিটাও বুঝতে শিখেছে।


গল্প-পাওয়া_না_পাওয়া

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়

নীল ক্যাফের ভালোবাসা

বিয়ের দুই বছর পর স্বামী যখন ডিভোর্স লেটার পাঠালো তখন দু"ধের বাচ্চাটাকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়লাম।


স্বামী পাড়ি জমালো বিদেশে।বাবা-মা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন আমার আবার বিয়ে দেওয়া জন্য।নিষ্পাপ ছেলেটার মুখের দিকে তাকিয়ে সে সাহস আর হয়ে উঠলো না।মা উঠতে বসতে সবসময় বলতে লাগলো 


" তোর বয়স অল্প,বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়?তোর ভবিষ্যৎ কি? "


" আমার সন্তান'ই আমার ভবিষ্যৎ মা "


" সন্তান তো আলাদা করছি না।সন্তানসহ মেনে নিবে এমন একটা ছেলের সাথেই তোর আবার বিয়ে দিবো।বাবা-মা হয়ে তোর ভবিষ্যৎ ঠিক করার অধিকার নাই আমাদের? "


মৃদু হেসে বললাম " মা তুমি হয়তো ভুলে গেছো, বিয়েটা তোমাদের পছন্দেই করেছিলাম "


মা ব্যথিত হয়ে বললো " আমরা বুঝতে পারিনি রে মা, ছেলেটাকে ভালোই ভেবেছিলাম "


বু"কে চাপা কষ্ট নিয়েও উত্তরে শুধু মুচকি হাসলাম।মা আমার কপালে হাত বুলিয়ে বললো 


" জেদ করিস না রে মা।আমরা তো সারাজীবন থাকবো না।তোর কি হবে? "


বাবা-মা এসব নিয়ে প্রতিদিন জোরাজোরি করে।কাঁ"টা তার পেড়িয়ে শত সংগ্রাম করে সমাজের মানুষের কথায় তীরবিদ্ধ হয়েও ছেলেকে বড় করলাম।পড়ালাম সেরা কলেজে।


গতকাল অ্যামেরিকা থেকে স্বামী গ্রীনকার্ড পাঠিয়েছেন।ছেলে মহাখুশি,বাবার সাথে অ্যামেরিকায় থাকবে,উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।মুহুর্তেই ভুলে গেলো এতো বছরে আমার করা সব ত্যাগ তিতিক্ষার কথা!সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার কথা! 


ছেলেকে এসব নিয়ে কিছু বললাম না।যতোই হোক মা তো,ছেলের ক্যারিয়ার সুন্দর হবে ভেবে তৃপ্তিতে মন ভরে গেলো।হাসিমুখে এয়ারপোর্ট অব্ধি ছেলেকে পৌঁছে দিলাম।


ইজি চেয়ারে মা বসে আছেন।ঘরে ঢুকতেই মা বললো


" ছেলে চলে গেলো? "


" হু "


" মনে আছে? তখন বলেছিলি ছেলেই তোর ভবিষ্যৎ।ছেলে তোর এই ভবিষ্যৎ করে দিলো? "


" তাতে কি,ও ভালো থাকবে এই তো অনেক "


গল্প-আক্ষেপ 

 লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 


বাস্তব জীবনের গল্প পড়ুন।