কষ্টের কিছু কথা ভালোবাসার | স্বামী স্ত্রী ভালোবাসা

  •  স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা

স্বামী স্ত্রীর আদর ভালোবাসা

অফিসে কেক কা"টা হচ্ছে ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে।কেক দেখে ভিষণ খুশি হলাম।অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন হাতে দিবে।


আয়োজন শেষে যখন কেক কা"টলো তখন আড়ালে পিয়নকে ডেকে বললাম " আমার পিসটা প্যাক করে দাও" 


পিয়ন অবাক হয়ে বললো " এইটুকুনি কেক,মুখে দিতেই শেষ হইবো।অহনি খাইয়া ফেলেন "


" না এখন আমার পে"ট ভরা।তুমি একটু আলাদা করে কাগজে মুড়ে এনে দাও।আমার বউ কেক খেতে খুব ভালোবাসে "


পিয়ন কিছুক্ষণ পর ফিরলো।হাতে কাগজে মোড়ানো দুইটা প্যাকেট।বললাম " দুইটা কেনো? "


পিয়ন লজ্জা লজ্জা মুখ করে বললো " স্যার,আমার বউ ও কেক পছন্দ করে।আপনারে দেখে ভাবলাম ওর জন্যও নিয়া যাই "


হেসে বললাম " বেশ তো "


পিয়ন বললো " স্যার মনে হয় নতুন নতুন বিয়া করছেন,না? "


" ৬ বছর "


পিয়ন ভ্রু কুঁচকে বললো " এতোদিন!তাও পছন্দ জন্য সামান্য কেকটুকুও নিয়ে যাচ্ছেন? "


" সময় কোনো বিষয় না।ওর প্রতি ভালোবাসা কখনো কমেনি,বরং বেড়েছে।আমাদের দুই ছেলে মেয়ে।হাসলে মুক্ত ঝরে "


পিয়ন দুঃখী মুখ করে বললো " স্যার,একদিন আপনের বাড়িতে যাবো।মুক্ত ঝরা হাসি দেখবো।আমার কোনো ছেলে মেয়ে নাই "


গল্প-ভালোবাসা

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 

  • রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

স্ত্রীর মুখ অসম্ভব গম্ভীর।দেখে মনে হচ্ছে রেগে আছে।কয়েকবার রিমোট চেয়েছিলো,দেইনি।সেজন্যই কি রাগ করে আছে? 


করলে করুক,সারাদিন পর একটু টিভির সামনে বসি।তাতেও স্ত্রীর বাঁধা পড়লে মেনে নেওয়া যায় না।ওর কোলে আমাদের দেড় বছরের মেয়ে টিয়া।বললাম " রেগে আছো কেন? "


ও ঠোঁ"ট ফুলিয়ে বললো "দেখছো না টিয়া কান্না করছে! "


" কোথায় কান্না করছে? ও তো তোমার কোলে বসে খেলছে "


এটা বলে আবার টিভিতে মনোযোগ দিলাম।কিছুক্ষন পর টিয়া মুখ দিয়ে কোত কোত জাতীয় শব্দ করছে।বললাম 


" ওর বোধহয় খিদে পেয়েছে, খাওয়াও "


স্ত্রী মুখ ভোঁতা করে বললো " রিমোটটা দাও।ও কার্টুন দেখবে "


বুঝলাম রিমোট না দেওয়া অব্ধি ও রেগে থাকবে।রিমোট দিয়ে বললাম " বাচ্চার দোহাই দিয়ে নিজে কার্টুন দেখাটা এবার বন্ধ করো।দুইদিন পর জামাই আসবে,একটু অন্তত বড় হও! কি এখনো বাচ্চার সাথে সাথে নিজেও কার্টুন দেখো! "


" এতো পকপক করতে বলছে কে তোমায় হ্যা? টিয়ার চকলেট শেষ,নিয়া আসো যাও।মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে চকলেট না পেলে কিন্তু চিল্লাচিল্লি করবে "


" মানে কি! কালকেই তো আনলাম "


স্ত্রী আমতা আমতা করে বললো " ওটা আমি খাইছি "


দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম " ভুজুংভাজুং দিয়ে বাচ্চার চকলেট ও খেয়ে ফেলছো! "


স্ত্রী গোমড়া মুখ করে বললো " এক বাচ্চার জন্য আনো কেন? দু'জনার জন্য আনতে পারো না? তাহলেই তো ওরটায় আর ভাগ বসাই না "


" তুমি বাচ্চা? "


" এএএএএ,ভুলে যেও না আমার জন্যই কিন্তু বাচ্চা পাইছো।কোনো হাংকি পাংকি চলবে না,দুজনার জন্য না আনলে ওরটায় আবার ভাগ বসাবো "


" তোমার চকলেট তো দিবো।তার আগে আমার চকলেটটা একটু টেস্ট করি "


" অসভ্যর মতো কিসব বলে,টিয়া এখানে আছে,দেখছে সব "


টিয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম " টিয়া মা, তুমি চুপচাপ বসে কার্টুন দেখো।আমি আর তোমার মা তোমার জন্য নুডলস নিয়ে আসি।


টিয়া জোরালো স্বরে বললো " আততা " 


গল্প-চকলেট

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 

  • সত্যিকারের ভালোবাসা নিয়ে স্ট্যাটাস

ফোন রিসিভ করতেই ছেলেটা বললো " হ্যালো, টিয়া! "


আমার নাম দোয়েল।উত্তরে বললাম " রং নম্বর "।


কিছুক্ষন পর আবারো কল আসলো।ছেলেটা আবারো বললো " হ্যালো টিয়া,তুমি কেমন আছো? "


রেগে বললাম " কে টিয়া?বললাম তো রং নম্বর! "


ফোনের ওপাশের ছেলেটা " দুঃখিত " বলে লাইন কেটে দিলো।পাঁচদিন পর আবার কল, " হ্যালো টিয়া "


" ফাজলামো পেয়েছেন?আমি টিয়া না কতবার বলবো? "


" তাহলে আপনার নাম কি? "


" দোয়েল "


" আচ্ছা টিয়া,এখন রাখি।টাটা "


আশ্চর্য তো! ছেলেটা কি পাগল?প্রায়শই ছেলেটা কল দিয়ে এক কথা জিগ্যেস করে।শুনতে শুনতে অভ্যাস

হয়ে গেছে।এখন উনি যদি বলে " হ্যালো টিয়া!"।উত্তরে আমি বলি " হ্যা আমি টিয়া।বলুন কি বলবেন? "।এই উত্তরে ছেলেটা দীর্ঘক্ষন চুপ করে থাকে।তারপর কল কে'টে দেয়।


প্রায় চারমাস পর হঠাৎ ছেলেটা কল করা বন্ধ করে দিলো।অস্থিরতা সহ্য করতে নাম পেরে নাম্বারে কল দেই,নাম্বার অফ দেখায়! 


চারপাশটা মুহুর্তেই এলেমেলো হয়ে গেলো।আমার কিশোরী মনে ততক্ষনে সেই রহস্যময় ছেলেটির অস্পষ্ট ছাপ পড়ে গেছে।ছেলেটার হঠাৎ কি হলো?কল কেনো দেয় না?এখন দীর্ঘ অপেক্ষায় " হ্যালো,টিয়া " ডাক শোনার!


ছেলেটা আর কল করলো না।এদিকে আমার বিয়ের আলাপ চলছে।এক পর্যায়ে বিয়েও হয়ে গেলো।বাসররাতে স্বামী মুচকি হেসে বললো " হ্যালো, টিয়া "।আমার চোখে জল,কাঁদছি।


গল্প-হঠাৎ_প্রেম

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 

  • কষ্টের কিছু কথা ভালোবাসার

" শা!রীরিক সম্পর্ক করে এখন এব'র্শন করাতে বলছো? "


" তুমি প্রে'গন্যান্ট হয়ে যাবে সেটা কে জানতো।আর এখন আমি এসব ঝামেলায় জড়াতে পারবো না "


শুভ্রের মুখে এমন কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে রইলাম।পাশে দাঁড়িয়ে থেকে মা ফোনে আমাদের কথা শুনে বললো 


" বলেছিলাম না ওই ছেলে পাল্টি খাবে?মুখ পুরিয়েই তো ছাড়লি শ'য়তান মেয়ে "


আমি কি করবো ঠিক বুঝতে পারছি না।বাড়ি থেকে সোজাসুজি বলে দিলো হসপিটালে গিয়ে এব'র্শন করাতে হবে।কিন্তু আমি এব'র্শন করাতে চাই না।বু'কের ভেতরটা কেমন যেন দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। 


রাতে আমায় জোর করে হসপিটালে নিয়ে গেলো এব'র্শন করাতে।আমি অনবরত কান্না করছি।নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে।তবে শুভ্র যে এভাবে বেইমানি করবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি।


তিনজন নার্স মিলে ধরেবেঁধে বেডে শুয়ে দিয়েছে আমায়।আমি প্রাণপণে এখান থেকে বেরুনোর চেষ্টা করছি।এমন সময় একজন ডাক্তার ঘরে ঢুকলেন।শান্ত গলায় বললো 


" আপনারা সবাই একটু বাইরে যান প্লিজ "


ওনার কথায় সবাই বাইরে চলে গেলো।ডাক্তার আমার পাশে বসে মৃদু স্বরে বললো 


" আমি সবটা শুনেছি।ছেলেটার প্রতি আপনার অনেক রাগ জমে আছে তাই না? "


আমি চোখের জল মুছে বললাম " ওকে সামনে পেলে আমি খু'ন করবো।ডাক্তার আপনি প্লিজ আমার বাচ্চাকে মা'রবেন না,আপনার পায়ে পড়ি "


ডাক্তার বললো " বাচ্চার মুখে আগে বাবা ডাকটা শুনি,তারপর নাহয় খু'ন কইরেন।প্লিজ ম্যাডাম,বাবা ডাকটা শুনতে দেন "


আমি অবাক হয়ে বললাম " কিসব বলছেন? "


ডাক্তার মুখ থেকে মাস্ক সরালো।আমি যেন ধাক্কার মতো খেলাম।ডাক্তারের পোশাকে শুভ্র দাঁড়িয়ে আছে।শুভ্র হেসে বললো


" তো ম্যাডাম,ছেলেটির উপর কি এখনো রাগ আছে? "

আমি মুখ চেপে কান্না করছি।শুভ্র আমায় জড়িয়ে ধরলো।মৃদু স্বরে বললো


" এক কাজ করো,তোমার বাবার ঘাড় থেকে ঝপাং করে লাফ দিয়ে আমার ঘাড়ে উঠে পড়ো "


আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম " মানে ? "


শুভ্র আমার মাথায় গাট্টা মেরে বললো " বিয়ে করে আমার গলায় ঝুলে পড়তে বলছি।পাগলি মেয়ে "


আমি গাল ফুলিয়ে বললাম " শুধু ঝুলবো না,তোরে একদম খেয়ে ফেলবো "।একথা বলেই ঝাপিয়ে পড়লাম শুভ্রর বু'কে।


গল্প-এক_প্রহরের_ভালোবাসা

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়


মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প পড়ুন।