স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা | ভালোবাসার স্ট্যাটাস ২০২৪

 দূর থেকে ভালোবাসার স্ট্যাটাস

দূর থেকে ভালোবাসার স্ট্যাটাস

স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বর্ষা বাবার বাড়ি চলে আসলো। আসার পর থেকে মন খারাপ!মা জিগ্যেস করলো


" কিছু না জানিয়ে হঠাৎ চলে আসলি যে? "


বর্ষা বললো " তোমার জামাইয়ের সাথে ঝগড়া হইছে "


" কি নিয়ে? "


" মেয়ে জামাইয়ের কি নিয়ে ঝগড়া হইছে সেটা তুমি শুনতে চাচ্ছো!? "


মা আমতা আমতা করে বললো " না এমনিই!একমাস হলো বিয়ে হয়েছে,রাগ করে বাড়ি চলে আসা কি ঠিক হলো? "


" মা তুমি হয়তো ভুলে গেছো,বিয়ের তিনবছর আগ থেকে আমাদের সম্পর্ক "


" তবুও,এভাবে চলে আসা ঠিক হয়নি "


মায়ের সাথে আর তর্ক বাড়ালো না বর্ষা।সারাদিনে স্বামী শতাধিক কল দিলো।রিসিভ করলো না।লোকটা বুঝুক বউয়ের সাথে ঝগড়া করলে কি পরিণতি হয়।


রাতে খেতে বসে খাবারের প্লেট সামনে নিয়ে বসে আছে বর্ষা।চোখে জল!নীরবে কাঁদছে।বর্ষার মা হতভম্ব হয়ে জিগ্যেস করলো 


" কাঁদছিস কেনো? "


বর্ষা চোখের জল মুছে বললো " ও রাতে নিশ্চয়ই না খেয়েই থাকবে! "


" কিছু একটা বানিয়ে খেয়ে নিবে এখন "


" তুমি তো ওই তেলাপোকার বাচ্চাকে চিনো না।না খেয়ে থাকবে তবুও রান্না করবে না।বাইরেও খেতে যাবে না "


" রাতে কল দিলেই তো দেখি জামাই রান্না করছে! "


" আমি সাথে থাকলে তখন করে।একা থাকলে করবে না,ওকে আমি চিনি।আমি বাড়ি যাবো,বাবাকে বলো রেখে আসতে "


" রাত ৯ টা বাজে।যেতে যেতে ১১ টা বাজবে।এতো রাতে যাবি? "


" হ্যা যাবো "


" কাল নাহয় যাস! "


" এখনি যেতে হবে "


" আমি জামাইকে কল করে বলে দিচ্ছি কিছু একটা বানিয়ে খেয়ে নিবে।তুই কাল ভোরে চলে যাস "


বর্ষা রেগে বললো " উফফফ তোমায় কি সব বলে বোঝাতে হবে?মা হও কি করে বলি! ওই তেলাপোকার বাচ্চাটাকে না দেখলে আমার রাতে ঘুম হবে না "


মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে মা বললেন " যা ইচ্ছে তাই বলে,কিছুই মুখে আটকায় না!অন্তত খাবারটা খা  "


" খাবো না "


দশটার দিক ব্যাগ গুছিয়ে দিতে দিতে বর্ষার মা মুখ ভোতা করে বললেন " ঝগড়া করে থাকতে পারিস না তা করিস কেন? শুধু শুধু ঝামেলা "


বর্ষা মুখ ভেঙ্গচি দিয়ে বললো " ঝগড়া করলে প্রেম বাড়ে "


" একটু তো সরম লজ্জা কর!সব ধুয়েমুছে ফেলে দিছিস নাকি "


ব্যাগ নিয়ে দরজার কাছে আসতেই বাড়ির সামনে একটা বাইক এসে থামলো।বর্ষার স্বামী হাজির।বর্ষার মা লক্ষ্য করলো বর্ষার চোখে জল,ঠোঁ"টে মুচকি হাসি।ভালোবাসা।


গল্প-অনুভবে_ভালোবাসা

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 


মাঝরাতে হঠাৎ কান্নার আওয়াজ।পাশে তাকিয়ে দেখি বউ নেই।বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে!কাছে গিয়ে বললাম 


" কি হয়েছে? "


বউ কিছু বললো না।তার কান্নার বেগ আরো বাড়লো।বললাম " এতোরাতে কাঁদছো!শরীর খারাপ লাগছে?পে"ট ব্যথা করছে কি? "


" না! "


" তাহলে? "


" মন ব্যথা! "


ঘরে চলে আসলাম।ক্যালেন্ডার দেখলাম।কাঁদছে কাঁদুক!আজ ওর প্রথম স্বামীর তৃতীয় মৃ"ত্যু বার্ষিকী।


খানিক্ষন বাদে বউ এসে বললো " চা খাবে? "


বললাম " হ্যা "


বউ চা করে নিয়ে এসে পাশে বসলো।বললো " এইযে আমি স্মৃতিচারণ করি,তোমার মন খারাপ হয় না? "


" না হয় না।তোমার প্রথম প্রেমকে আমি সম্মান করি "


গল্প-একটু_অন্যরকম

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 

কষ্টের কিছু কথা ভালোবাসার

বিশ বছর সংসার জীবনে হাঁপিয়ে উঠেছি। এখন ছেলের বিয়ে দিয়ে বাকি জীবনটা আরামে কাটাবো।


সংসারে আমরা মোটে তিনজন।স্বামী,ছেলে আর আমি।ছেলেকে বিয়ে করালাম।এখন চারজনার জন্য সেই আমাকেই রান্না করতে হয়!


বউমার বয়স ১৭।সামান্য ডিম টুকুও ভেঙ্গে ভাজতে পারে না।দায়িত্ব কমবে ভেবে বিয়ে করালাম এখন দায়িত্ব বেড়ে গেলো।স্বামী,ছেলের সাথে এখন মেয়ের ও খেয়াল রাখতে হয়।


ভালোই লাগে,প্রজাপতির মতো মেয়েটা পুরো বাড়ি ঘুরে বেড়ায়।স্নানের পর চুলে তেল দিয়ে দিই,বেনুনি করে দিই।মেয়ের শখ পূরণ হয়েছে।


খাওয়ার সময় যখন মেয়েটা গা"ল ফুলিয়ে বলে " খেতে ইচ্ছে করছে না মা।তুমি খাইয়ে দাও "


তখন বু"কটা শীতল হয়ে যায়।আগ্রহ নিয়ে বউমাকে খাইয়ে দিই,ও ফোনে মজার ভিডিও দেখে আর হো হো করে হাসে।ওর হাসি দেখে আমিও হাসি।


গল্প-শখ_পূরন

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয় 

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

আমি চা বানাতে পারিনা।স্বামী সন্তান বলে,চা একদম স্বাদহীন!বউমা নাকি খুব ভালো চা বানায়।এক সকালে বউমাকে বললাম 


" তুই কিভাবে চা বানাস রে মা? "

 

বউমা ভেংচি কে"টে বললো " তোমায় কেন বলবো? "


অভিমানী স্বরে বললাম " কি হয় বললে?তোর হাতের চা খাওয়ার পর আমার চা নাকি তোর শ্বশুরের আর পছন্দ হয় না! "


বউমা হেসে বললো " দেখছো,কিভাবে হাত করে নিছি তোমার বরকে "


" বুড়োটারে আবার হাত করা!চা আর পান দিলেই বুড়ার আর কিচ্ছু লাগে না "


বউমা চা বানানো শিখিয়ে দিলো।সে অনুযায়ী চা বানিয়ে স্বামী সন্তানকে পরিবেশন করলাম।ওরা বিশ্বাসই করেনি আমি বানিয়েছি।স্বামী বললো 


" বললেই হলো নাকি?এতো ভালো চা বউমা ছাড়া কেউ বানাতে পারে না "


বললাম " তোমার বউমাই বানিয়েছে।এখন প্যাচাল না পেরে খাও "


দুপুরে বউমা এসে জেদ ধরলো, " আমি রান্না শিখবো,শিখায় দাও।শুধু ডিম ভাজতে পারি "


" এইটুকু হাত দিয়ে তো খুন্তিটাও ধরতে পারবি না ঠিক মতো।তোকে রান্না করতে দিলে আমারই ভয় লাগে।হাত,পা পু"ড়ে না ফেলিস! "


" আরেহ কিছু হবে না।দেখতে ছোট মরিচ 

 হলে কি হবে,ঝাল আছি।বিশ্বাস না হলে তোমার ছেলেকে জিগ্যেস করিও "


কথাটা বলেই মেয়েটা খিলখিল করে হাসতে লাগলো,আমিও হাসছি।মনের মতো বউমা পেয়েছি,সুখী পরিবার।


গল্প-শ্বাশুড়ির_স্নেহ

লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়


মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প পড়ুন।