হাস্যকর মজার গল্প
স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া🙄
স্বামী: আতা গাছে তোতা পাখি ডালিম
গাছে মৌ, আগে জানলে আনতাম না ঘরে
এমন ঝগড়াটে বৌ।🤨😐
স্ত্রী: নোটন নোটন পায়রা গুলি ঝোটন
বেঁধেছে, আমাকে বিয়ে করতে তোমায় কে
বলেছে?🫡
স্বামী: ঐ দেখা যায় তালগাছ ঐ আমাদের
গাঁ, বিয়ের আগে লক্ষী মেয়ে কিছুই চাইতো
না।😌
স্ত্রী: হাড় কিপটে।🙁
স্বামী: আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল
তুলিতে যাই, বিয়ের পরে এখন শুধু করে খাই
খাই।🫤
স্ত্রী: ছিপখান তিন দাঁড় তিনজন মাল্লা, কি
আছে কপালে জানেন শুধু আল্লাহ।🥺
স্বামী: ভোর হলো দোর খোলো খুকুমনি
উঠোরে, ভাল যদি না লাগে বাপের বাড়ি
ছোটরে।😐
স্ত্রী: আগডুম বাগডুম ঘড়ারডুম সাঁজে, আগে
বুঝি নাই তুমি এত বাজে।😡
স্বামী: আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ধান দেবো মেপে,
আর বেশি চিল্লাইলে ধরবো গলা চেপে।😈
স্ত্রী: আগে কি বলতে মনে আছে? পূরণ করবো
তোমার মনের সাধ, আকাশ থেকে এনে দিমু
চাঁদ, এখন বাজার থেকে শাড়ি আনাও বাদ।
কে জানতো আগে, প্রেমে এত খাঁদ😕😕।
ছোট মজার গল্প
বউয়ের অনেক ইচ্ছা আমাকে পোলাও রান্না করে খাওয়াবে। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, তার পোলাও রান্না করলে নাকি ঘ্রাণ বার হয়না।
আমি তাকে শান্তনা দিয়ে বললাম, -' ঘ্রাণে কি আসে যায়? পেট ভরলেই তোমার পরমেশ্বর খুশি।'
কিন্তু না। সে পোলাও রান্না তখনি করবে,যখন পোলাওয়ের ঘ্রাণে আমি কেন পুরো এলাকাবাসি জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে।
কি এক্টা মসিবত কন তো দেখি। আমি কি এখন তার পোলাওয়ে ঘ্রাণ বার হওয়ার জন্য দামি পারফিউম ছিটিয়ে দিতে বলবো? এদিকে রান্নার কাজে আমিও একবারে আনাড়ি। ওই আলু ভর্তা আর ডিম ভাজি পর্যন্তই আমার দৌড়। আমি কীভাবে তাকে পোলাও রান্নার সঠিক রিসিপি বলবো?
একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বউকে বললাম, -' তুমি চাইলে ফেসবুকে রান্না সংক্রান্ত যে সকল গ্রুপগুলো আছে,সেই সব গ্রুপগুলোতে তোমার সমস্যার সমাধান নিয়ে একটা পোস্ট দিতে পারো। নিশ্চয় কেউ না কেউ সমাধান দিয়ে দিবে।'
বুদ্ধিটা বউয়ের মনে ধরলো। সে তড়িঘড়ি করে মোবাইল ফোনটা বার করে ফেসবুকে ঢুকে একটা পোস্ট লিখলো "কীভাবে পোলাও রান্না করলে অনেক ঘ্রাণ বার হবে? যাতে পোলাওয়ের ঘ্রাণে পুরো মহল্লার মানুষ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।"
পোস্ট টা দেখে ভিতরটা একটু খচখচ করে উঠলো। না জানি পাবলিক পোস্ট টা কীভাবে নেয়?
যা-ই হোক,এখন অপেক্ষার পালা। গ্রুপ এডমিন, পোস্ট এপ্রুভ করার পর তবেই সমস্যার সমাধান মিলবে।
এরপর দুজনেই যথারীতি অফিস আর সাংসারিক কাজের ব্যস্ততাই পোস্টের কথা বেমালুম ভুলে গেলাম।
রাতে খাবার টেবিলে আমার হঠাৎ করে মনে হলো পোস্টের কথা।
বললাম, -'এই, সকালে যে তোমার পোলাও রান্নার সমাধান নিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়েছিল, সমাধান পেয়েছো?'
বউ জিহ্বা কামড়ে বললো, -'ইশ, ভুলেই গিয়েছিলাম। দাঁড়াও মোবাইলটা নিয়ে আসছি।'
খেতে খেতে বললাম,
-'সারাদিন যখন দেখা হয়নি, এখন আর অধৈর্য হয়ে লাভ নেই। আগে খাওয়া শেষ করে নিই। তারপর দুজনেই দেখবো।'
দুজনেই খাওয়া শেষ করে বিছানায় আধশোয়া হয়ে বললাম, -'তা এখন দেখো কে কি সমাধান দিলো।'
বউ তার ফোনটা হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢুকলো। কয়েক মিনিট পর দেখলাম,তার চোখজোড়া বিস্ফারিত হয়ে উঠেছে। চোয়াল শক্ত হয়ে এসেছে।
জিজ্ঞাসা করলাম, -' কী হয়েছে?'
সে রেগেমেগে ফোনটা আমার দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বললো, -'তুমি যেমন আনাড়ি, তেমন তোমার বুদ্ধিও। সমাধান তো দূরের কথা। সবাই ঠাট্টা-তামাশা শুরু করেছে আমার পোস্ট নিয়ে।'
-'এত বড় সাহস। দেখিতো, কার এতবড় বুকের পাটা।'
মোবাইলটা হাতে নিয়ে পোস্টের কমেন্ট বক্স চেক করতে গিয়ে মন্তব্যকারীদের মন্তব্য দেখে তো আমার হুশ উড়ে যাওয়ার উপক্রম। এত এত চিন্তাবিদ থাকতে দেশটা দুশ্চিন্তার কবলে পড়ে দিনকে দিন পথে ম*রছে কীভাবে?
মন্তব্যকারীদের কয়েকটা মেন মেন পয়েন্ট তুলে ধরলাম:
* পোলাওয়ের সাথে চেতনানাশক ঔষুধ মিশিয়ে দিতে পারেন। তাহলে পোলাওয়ের ঘ্রাণে না হলেও ঔষুধের জোরে সবাই জ্ঞান হারাতে বাধ্য। (বি.দ্র: অবশ্যই রান্না করার সময় রাঁধুনির মুখে মাস্ক লাগানো আবশ্যক।)
* পোলাও রান্নার পর কি এলাকায় চুরি করার ইচ্ছা আছে নাকি? ইয়ে মানে অজ্ঞান করার কথা বললেন তো তাই।
* সবই বুঝি। আপনার এই রেসিপি যে বিরোধি দলের ষড়যন্ত্র তা মিনারেল ওয়াটারের মত ঝকঝকা।
*প্রতিবেশিদের অজ্ঞান করানোর জন্য আরও অনেক উপায় আছে। আপনি এই আইডিটা বাদ দেন আফা।
*পোলাওয়ের সাথে ক্লোরোফর্ম মেশাতে পারেন। ১০০% কাজে দিবে।
আরেকজন আবার সব মন্তব্যকারীদেরকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছে। 'কেউ উনাকে অজ্ঞান করার রেসিপিটা দিয়েন না৷ এতে সমাজের ব্যপক ক্ষতিসাধন হতে পারে। (বি.দ্র : জনসার্থে সমাজ কল্যান গ্রুপ)
এত এত উপদেশমূলক মন্তব্যের ভিতরে পাশের বিল্ডিংয়ের কুদ্দুস ভাইয়ের মন্তব্য দেখে আমার রক্ত গরম হয়ে গেলো। হতভাগা রেসিপির সমাধান দেওয়ার পরিবর্তে লিখেছে -'ভাবি আপনি দেখতে মাশাল্লাহ। আর আপনার মুখের হাসি তো আরও সুন্দর। ওত কষ্ট করে পোলাও রান্না করে প্রতিবেশিদেরকে অজ্ঞান করানোর থেকে মাঝেমধ্যে একটু হাসলেই তো হয়। ওটাই অজ্ঞান করানোর জন্য যথেষ্ট। '
মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে বউয়ের দিকে তাকালাম। সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমিও ক্ষুব্ধ নয়নে তাকিয়ে বললাম, -' রেসিপির সমাধান পরে হবে। আগে কুদ্দুইসার ঘরের কুদ্দুইসাকে অজ্ঞান করে আসি। আমার বউয়ের দিকে কু নজরে তাকানো। আজ ওর একদিন কি আমার দশদিন। বজ্জাত, হারামি।'😠
লেখা-আশিক মাহমুদ
মজার গল্প হাসির
কুড়াল হারানো সেই সৎ কাঠুরে অনেকদিন পর তার স্ত্রীকে নিয়ে বনে বেড়াতে গেছে।
কাঠুরের স্ত্রী সেই নদীটি দেখতে ইচ্ছা প্রকাশ করলো।নদীর ধারে গিয়ে হঠাৎ তার স্ত্রী পানিতে পড়ে ডুবে গেল। কাঠুরে কান্না শুরু করেছে।
তার কান্না শুনে আবারও জলপরী এলো তারপর জলপরী অতি রূপবতী রাজকন্যার মতো এক
মেয়েকে পানি থেকে তুলে বলল, "এই কি তোমার স্ত্রী?"
কাঠুরে বলল, "জ্বি এই আমার স্ত্রী।" জলপরী বলল, "ভালো করে দেখে তারপর বলো।"
কাঠুরে বলল, "আর দেখতে হবে না। এই আমার স্ত্রী।"
জলপরী বলল, " আগের বার তোমার সততা দেখে মুগ্ধ
হয়েছিলাম। এখন তুমি এটা কী করলে? রূপবতী মেয়ে দেখে নিজের স্ত্রীকে ভুলে গেলে?"
তখন কাঠুরে বলল, "আমি বাধ্য হয়ে বলেছি এইটাই আমার স্ত্রী। যদি না বলতাম, আপনি এরচেয়ে একটু কম সুন্দর আরেকটা মেয়ে তুলতেন।
আমি যদি বলতাম এই মেয়ে না। আপনি সবশেষে আমার স্ত্রীকে তুলতেন এবং আগের বারের মতো তিনজনকেই আমাকে দিয়ে দিতেন।এই কারণে প্রথমবারই বলেছি এটা স্ত্রী।
আমি নিতান্তই গরিব মানুষ। তিন বউকে পালবো
কীভাবে?আর একটা বউকেই সামলাতে পারিনা, সেখানে তিনটা বউ হলে তো আমাকেই নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে হবে।
এবারও কাঠুরের সততা দেখে জলপরী মুগ্ধ হলো এবং পানি থেকে তুলে তিনটাকে তো দিলোই সাথে নিজেও তাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলো! সৎ কাঠুরিয়া ৪ স্ত্রী নিয়ে ঘরে ফিরলো
গ্রামের মজার গল্প
বউ মারা যাওয়ার পর উকিল সাহেব বাসার কাজের মেয়েটাকে বিয়ে করলেন।
বিয়ের ছয় মাস পার হয়ে গেলো।
:
প্রতিবেশী ভাবী জিজ্ঞাসা করলোঃ উকিল সাহেবের সাথে বিয়ের পর
আপনার কেমন দিন কাটছে।
;
মিসেস উকিল: আফা, কুনু তফাৎ ফাইনাই গো। কাম কাইজ, আদর সোহাগ বিয়ার আগে যা ওক্ষনও তাই। ফাঁকে দিয়া আমার বেতনটা বন্ধ কইরা দিসে গো। আগে তো উকিল সাবে খুশি অইয়া বখশিশ দিত, হেইডাও বন্ধ।
ছয় মাসে কত ট্যাহা ফাইতাম .............!!!
উকিলের বুদ্ধিগো আফা! আমার পুরাই লস🤔 🤣🤣 এই হলো সেই উকিল 🤣🤣🤣
হাসতে নাকি জানেনা কেউ
স্ত্রীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিছি।
স্ত্রী বলতেছে- 'ইমার্জেন্সি টাইমে টাকা পাইছো, সেজন্য ফেরত দেয়ার সময় দু হাজার বাড়তি দিবা।'
'যেহেতু তুমি আমার টাকাটা একমাসের বেশি রাখবা সেহেতু আরো দু হাজার যোগ হবে।'
'সব মিলিয়ে ২৪ হাজার হয়। বাট টেনশন নিও না, তুমি রাউন্ড ফিগার দিয়ে দিও।'
বললাম, কত? ২৫ হাজার?
স্ত্রী বলছে, 'না বোকা! ২৫ হাজার কি করে রাউন্ড ফিগার হয়। যাও, তুমি ৩০ হাজার দিয়ে দিও।'🙂
যার বউ মোটা সে বুলেট নিক । যার বউ ছোট সে স্কুটি নিক, যার বউ নেই সে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিন।