সংসারে অশান্তি নিয়ে উক্তি
সংসারে অশান্তি দূর করার উপায়
একটি সংসার অসুখী হবার পেছনে
অনেক কারণ থাকতে পারে!
কিন্তু সুখী হবার পেছনে একটাই কারণ
আর তা হলো স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে
ইনসাফপূর্ণ বোঝাপড়া।🌸❤️
দুইজনের মধ্যে বোঝাপড়াটা তখনই
কাজ করবে যখন সেখানে ইনসাফ
বা সুবিচার থাকবে।
যখন সেই বিচার ব্যবস্থাপনাটা একতরফা
হয়ে যায় তখনই বিরাট গন্ডগোল বাধে!
সাধারণত আমাদের সমাজের
পরিবারগুলোতে এই সুবিচারের
খুব অভাব দেখা যায়।
নিরানব্বই ভাগ ছেলেই মায়ের দিকে
বেশি ঝুঁকে যায় যিনি তার স্ত্রীর শাশুড়ি হন।
এটা খুব স্বাভাবিক যেহেতু রক্তের সম্পর্ক।
কিন্তু এটাও মনে রাখা জরুরি যে একতরফা
কথা না বলে দুইজনের মধ্যে (স্ত্রী এবং মা)
ব্যালেন্স রেখে চললে ব্যাপারটা অনেক
সহজ হয়।
মাকে কষ্ট দেয়া যাবে না আবার স্ত্রীর
সম্মানহানী হবে এমন কথা কিংবা কাজ
করা যাবে না, এটা মাথায় রেখে
চললেই সংসার জীবন সুন্দর হয়।
সংসার কি
যখন কোন মেয়ে একটি নতুন সংসারে
আসে স্বভাবগতো ভাবেই সেখানে সে
নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
ব্যতিক্রম হয়তো আছে, ব্যতিক্রমের
কথা বলছি না।
অনেক চাকরীজীবী, শিক্ষিত মেয়েকেও
দেখেছি মানিয়ে নিয়ে সহ্য করে যেতে।
এই মানিয়ে নিতে নিতে এবং একতরফা
আচরণ পেতে পেতে একসময় সে
মেন্টালি সিক হয়ে পড়ে!
একটা বেলুনে বাতাস ভরতে থাকলে
একসময় সে আর নিতে পারে না, ফেটে যায়।
এবং এই ফেটে যাওয়াটা নিঃশব্দে হয় না।
যথেষ্ট শব্দ করেই ফেটে যায়!
মেয়েটির বেলাতেও তাই হয়, তার মেনে
নেয়ার লিমিট ক্রস করে যায় এবং তখন
সে তার সম্পর্কে আর কোন নেগেটিভ
কথা সহ্য করতে পারে না।
এবং যখন সে তার বিপরীতে বলা এসব
কথার প্রতিবাদ করে তখন ঐ লোকগুলি
যারা মেয়েটিকে কথা শোনাতে অভ্যস্ত ছিল
বলে তোমাকে তো কিছুই বলা যায় না,
তুমি রিয়্যাক্ট করো।
যে কোন মানুষের ব্রেইনের একটা নির্দিষ্ট
ধারণ ক্ষমতা আছে, এর বাইরে সে নিতে
পারে না। যখন তাকে অতিরিক্ত দেয়া হয়
তখন সে ফেইল করে,তার কার্যক্ষমতা
হারিয়ে ফেলে আর তখনই তাকে বলা
হয় মানসিক রোগী!
সংসার
ইসলাম নারীদের দায়িত্ব পুরুষদের উপর
দিয়েছে। কিভাবে মা এবং স্ত্রীর সাথে
আচরণ করতে হবে সেটাও বলে দিয়েছে।
মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত
(একদা মু‘আবিয়াহ বিন জাহিমাহ)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর খেদমতে এসে
জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর
রাসূল (সাঃ)! আমি যুদ্ধে যেতে চাই।
আর এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ
কামনা করছি।
উত্তরে তিনি বলেন, তোমার মা জীবিত
আছেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন,
তাহলে তাঁর খিদমতে লেগে থাক।
কেননা জান্নাত তাঁর দু‘পায়ের নিচে
(নাসাঈ, হা/৩১০৪; সনদ হাসান।)
আবার স্ত্রীকেও জিজ্ঞেস করা হবে,
তোমার স্বামী কেমন ছিল। রাসূল (সা.)
বলেন তোমাদের মধ্যে সেই ভালো যে
তার পরিবারের কাছে ভালো। আর
আমি আমার পরিবারের কাছে
তোমাদের চেয়ে উত্তম।
(আত-তিরমিজি)।
তাই একজন পুরুষকে একতরফা আচরণ
থেকে বিরত থেকে সংসারের সুখের জন্য
ইসলাম অনুযায়ী দুই জনের মধ্যে
সুবিচার করেই চলতে হবে।
আল্লাহ সবাইকে তৌফিক
দান করুন,
আমিন।