বাস্তব জীবনের গল্প & বাস্তব কথা

 বাস্তব জীবন নিয়ে স্ট্যাটাস

বাস্তব জীবন নিয়ে স্ট্যাটাস

 পাকস্থলী ক্যান্সারে ৪০ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আগে, বিশ্ব বিখ্যাত ডিজাইনার এবং লেখক "ক্রিসদা রড্রিগেজ" লিখেছেন:

১. পৃথিবীর সবচেয়ে দামী গাড়ী ছিল আমার গ্যারেজে, কিন্তু এখন হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হচ্ছে।

২. আমার বাড়িতে সব ধরনের ব্র্যান্ডের কাপড়, জুতা ও মূল্যবান জিনিস, কিন্তু এখন আমার শরীর হাসপাতালের দেওয়া ছোট কাপড় দিয়ে মোড়ানো।

৩. ব্যাংকে প্রচুর টাকা পেয়েছি কিন্তু এখন সেই টাকা দিয়ে লাভ হচ্ছে না।

৪. আমার বাড়ি ছিল প্রাসাদের মত, কিন্তু এখন হাসপাতালে দুই বেড এ ঘুমাচ্ছি।

৫. পাঁচ তারকা হোটেল থেকে এখন হাসপাতালে সময় কাটাচ্ছি ক্লিনিক থেকে ক্লিনিকে যাচ্ছি

৬. শত শত মানুষকে অটোগ্রাফ দিয়েছি কিন্তু এবার মেডিকেল রেকর্ড আমার স্বাক্ষর।

৭. সাত নাপিতের কাছে গেছি চুল ঠিক করার জন্য, কিন্তু এখন — মাথায় একটা চুলও নেই।

৮. একটি প্রাইভেট জেটের সাথে, আমি যেকোনো জায়গায় উড়তে পারি, কিন্তু এখন হাসপাতালের গেটে হেঁটে যাওয়ার জন্য আমার দুজন সহকারী প্রয়োজন।

৯. অনেক খাবার থাকলেও এখন আমার খাবার দিনে দুই ট্যাবলেট আর সন্ধ্যায় দুই ফোটা লবন পানি।

১০. এই বাড়ি, এই গাড়ি, এই প্লেন, এই আসবাবপত্র, এই ব্যাংক, অতি সুনাম আর গৌরব, এসব কিছুই আমার কাজে লাগে না। এর কোন কিছুই আমাকে আরাম করবে না। "মৃত্যু ছাড়া বাস্তব কিছুই নেই। "

দিন শেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল স্বাস্থ্য।

সুস্থ থাকা অবস্থায় আপনার যত কম বা যত আছে তাতে খুশি থাকুন,সব আছে,খাবার আছে এক প্লেট,ঘুমানোর জায়গা আছে... তুমি কিছুই মিস করো না।

বাস্তবতা বাস্তব জীবনের গল্প

জীবনে কেউ নিখুঁত হয়ে জন্ম নেয় না, আপনার ত্রুটি নিয়ে ভয় পাবেন না, আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে কিভাবে আপনার ত্রুটি, দুর্বলতা এবং ব‍্যার্থতা পেরিয়ে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।

মিঃ বিন( রোয়ান অ‍্যাটকিনসন): মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান স্কুলে তার চেহারা নিয়ে সবাই মজা ও হাসিতামাশা করত, এইজন্যই তিনি বন্ধু ছাড়া সাইডলাইনড শিশু ছিলেন। কেউ আশা করেনি তিনি একজন বিজ্ঞানী হবেন কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক‍্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং - এ মাস্টার্স করেন। অভিনয়ের প্রতি বরাবরই তার আগ্রহ ছিল কিন্তু বাক বিসংগতির কারণে তিনি অভিনয় এবং অনেক টিভি শো দ্বারা প্রত‍্যাখ‍্যাত হয়েছিলেন। এরপর তিনি একটি কমেডি গ্রুপে যোগদান করেন কিন্তু সেখানেও তার কথা বলার বিষয়টি বাঁধা হয়ে দাড়ায়।

তারপরও তিনি নিজের উপর বিশ্বাস অটুট রেখেছিলেন, কমেডির প্রতি অধিক মনোনিবেশ এবং কথা বলার কঠোর অনুশীলন করতে থাকেন। এরপর যেখানেই তিনি কমেডি শো করেছেন সেখানেই সফল হয়েছে। মিস্টার বিন ফিল্মস সিরিজ তাকে বিশ্বব‍্যাপী বিখ্যাত করেছে। তিনি প্রমাণ করেছে যত বাঁধাই থাকুক তার চেহারা এবং কথা বলা - এটি কোন ব‍্যাপার না। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কমেডি অভিনেতা মিঃ বিন এবং তার জীবন কাহিনিকে সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক গল্প হিসাবে আখ্যায়িত করা

 হয়েছে।

শিক্ষা মূলক গল্প পড়ুন...