রোমান্টিক ভালোবাসার স্ট্যাটাস & রোমান্টিক স্ট্যাটাস

 রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

ভার্সিটি থেকে ফেরার সময় অনেকক্ষণ ধরেই লক্ষ্য করছি একটা কালো জামা পড়া মেয়ে আমাকে ফলো করছে। চেহারাটা খুব কিউট তারউপর আবার কালো ফ্রেমের চশমা পড়ে আছে। আমি তেমন গুরুত্ব না দিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছিলাম, তখনই দৌড়ে এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বললো, 


--- তোমাকে আজ প্রায় পনেরো দিন ধরে ফলো করতেছি। প্রতিদিনই তুমি উধাও হয়ে যাও। তোমার সাথে হেঁটে কুলাতে পারি না। কিন্তু আজকে আর ছাড়বো না বাবু।

--- বাবু!

--- হ্যাঁ বাবু! চলো ঐ গাছের নিচে ব্যাঞ্চটাতে গিয়ে বসি।

--- আমি এখন বাসায় যাবো। ক্লাস করতে করতে খুব ক্লান্ত। 

--- এই চুপ! ক্লাস কি তুমি একাই করো নাকি? আমি করি না? চুপচাপ আমার সাথে গিয়ে ব্যাঞ্চে বসবে আসো।


এই মেয়ে তো দেখছি আমাকে ধমকও দিচ্ছে। হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে ব্যাঞ্চটাতে বসালো আমাকে। আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না। কে এই মেয়ে, কোত্থেকে এলো এই মেয়ে!


--- কি হয়েছে এবার একটু বলবেন কাইন্ডলি?

--- আসলে তেমন কিছুই হয়নি। জাস্ট তুমি আমার সাথে প্রেম করবা। 


আমার চোখ কপালে উঠে গেছে অলরেডি। কি বলছে এই মেয়ে! চিনি না জানি না এসে বলছে প্রেম করতে! 


--- আমি করবো না আপনার সাথে প্রেম। আমার কোনো প্রেম ঠেম করার ইচ্ছে নেই। 

--- আমি তো তোমার ইচ্ছের কথা জানতে চাইনি। তুমি শুধু প্রেম করবা আমার সাথে এতটুকুই জানি।

--- আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এই বলে উঠে চলে আসছিলাম, তখন আবার হাত ধরে টান দিয়ে বসিয়ে শুরু করে দিলো,

--- শুনো আমরা চার বছর প্রেম করবো তারপর বিয়ে। 

--- আমি আপনার সাথে প্রেম করতে চাই না।

--- বিয়ের রাতে তুমি আমাকে সারারাত গল্প শুনাবা। কয়টা মেয়ের সাথে লুতুপুতু করেছো সেই গল্প শুনাবা আর সব শুনে আমি তোমার দাত ভেঙে দেবো।

--- আরে....

--- তারপর দুই দিন তুমি রেস্ট করবা। বিয়ের পর দুইদিন তো রেস্ট করতেই হয়।

--- দেখেন....

--- দুই দিন শেষ হলে তুমি ভালো একটা চাকরির ইন্টারভিউ দিবা। তারপর চাকরিটা হয়ে গেলে তুমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানাবা।

--- শুনুন....

--- নাস্তা বানিয়ে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে দিবা। যদি না উঠতে চাই, তাহলে তুমি আমার এই গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁটে আলতো চুমু দিয়ে আরেকবার ডাক দিবা, দেখবা আমি সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে গেছি।

--- আপনি....

---- তারপর আমাকে কোলে করে ওয়াশরুমে নিয়ে যাবা। টুথব্রাশ দিয়ে আমার  দাত ব্রাশ করাই দিবা। দেন আমাকে আবার কোলে করে নাস্তার টেবিলে নিয়ে যাবা। 

--- আমার লেট হয়ে.... 

--- তারপর খুব যতনে, খুব আদরে, খুব ভালোবেসে আমাকে নাস্তা খাওয়াই দিবা। নাস্তা খাওয়া শেষে আমার টোল পড়া গালে দুই গালে দুইটা চুমু দিবা।


আমিও এবার তার কথায় সাই দেয়া শুরু করলাম।


--- তারপর? তারপর?

--- তারপর তুমি সবকিছু গুছিয়ে অফিসে চলে যাবা। সারাদিন অফিসে প্রচুর কাজ করে রাতে বাসায় ফেরার সময় আমার জন্য সাদা কাঠগোলাপ নিয়ে আসবা। 

--- হুম, তারপর? 

--- তারপর রাতের খাবার রান্না করে আমাকে খুব ভালোবেসে খাওয়াই দিবা। ছুটির দিনগুলোতে ঘরের আনাচেকানাচে পরিষ্কার করবা। ময়লা জামাকাপড়গুলো ধুয়ে দিবা আর আমাকে শপিং করার জন্য টাকা দিবা।আমি বান্ধবীদের নিয়ে শপিং করতে যাবো। তারপর একসাথে সবাই মিলে টিএসসি যাবো ঘুরতে। রাতে আমার বান্ধবীদেরকে বাসায় নিয়ে আসবো, তুমি তাদের জন্য ভালো করে খাবার রান্না করে রাখবা। কোনো হেরফের যেন না হয়।

--- আচ্ছা, তারপর? 

--- তারপর আর কি! এভাবেই সারাজীবন চলবে। আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসবো। খুব ভালোবেসে সারা রাত জড়িয়ে ধরে ঘুমাবো। 

--- আরো একটা আবদার করতে ভুলে গেছেন আপনি। 

--- কি? কি সেটা বাবু? 

--- বিয়ের পর আমিই প্রেগন্যান্ট হবো। দশ মাস আমার পেটে বাচ্চাটাকে খুব যতনে রেখে দেবো। যখন প্রসব বেদনা উঠবে, তখন আমি প্রসব বেদনায় ছটফট করবো। চিৎকার দিয়ে কান্না করবো। তারপর আমি নিজেই হসপিটালে চলে যাবো এবং খুব ফুটফুটে একটা বাচ্চা প্রসব করবো। দেখতে একদম আপনার মতো কিউটের ডিব্বা হবে ইনশাআল্লাহ। মাথাটা শুধু আপনার মতো তারছিড়া না হলেই হবে।

সমাপ্ত

গল্পঃআবদার

ভালোবাসার রোম্যান্টিক সেরা গল্প পড়ুন...