সৌদি প্রবাসীর বউ | প্রবাসীদের কষ্ট ও পরিবার

 সৌদি প্রবাসীর বউ

সৌদি প্রবাসীর বউ

রিনা ছিল ফরিদের বউ। ফরিদ সৌদি থাকে, কাজ করে এক কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে, মাসে বেতন ২৫০০ রিয়াল। ঘাম ঝরিয়ে টাকা পাঠায় দেশে, যাতে রিনা সুখে থাকে। কিন্তু সেই সুখই একদিন বিষ হয়ে ওঠে।

রিনা একা থাকতে থাকতে এক যুবকের প্রেমে পড়ে যায়। ধীরে ধীরে টাকা চাওয়া, মিথ্যা বলা শুরু হয়। ফরিদ বুঝতে পারে, কিন্তু চুপ থাকে—ভেবেছিল সময়ই সব ঠিক করে দেবে।

দিনের পর দিন মিথ্যার জালে আটকে যায় সম্পর্ক, একদিন রিনার বান্ধবী ফোনে জানিয়ে দেয়—“ভাই, রিনা আর আগের মতো নেই।”

ফরিদ সে রাতে হুট করে মায়ের গলা শোনে ফোনে, "বাবা, আর টাকা পাঠাস না, তুই তো আর বাড়ির লোক না রইলি…"

---

সৌদি প্রবাসীদের

ইমরান, বাবুল, শামীম—তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু, একই শহরের ছেলে। তিনজনেই গিয়েছিল সৌদিতে জীবন গড়তে।

শুরুতে স্বপ্ন ছিল একসাথে বাড়ি বানাবে, বছরে একবার দেশে যাবে।

কিন্তু বাস্তব বড় নির্মম।

ইমরান একদিন জানে তার মেয়ে স্কুলে যেতে পারছে না, টাকার অভাবে।

বাবুলের স্ত্রী হঠাৎ নিরুদ্দেশ, আর শামীমের বউ বলেছে—“তুমি টাকা না পাঠালে আমি কোর্টে যাব।”

তিন বন্ধুর চেহারায় তখন শুধু পরিশ্রম আর কষ্টের দাগ। তাদের হাসি মুছে গেছে রিয়ালের দামে।

---

সৌদি প্রবাসী খবর

খবরে আসে—"বাংলাদেশি শ্রমিক হিটস্ট্রোকে মারা গেছে।"

কে জানে সে রিয়াল কামাতে এসেছিল, না স্বপ্ন কিনতে!

তার বউ তখন গ্রামের হাটে বলে—“আমার স্বামী সৌদিতে, খুব ভালো ইনকাম করে।”

সে জানে না, তার স্বামী এখন কফিনে, শুধু তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আর কোনো টাকা যাবে না।

---

সৌদি প্রবাসী নিউজ

নিউজে বড় হেডলাইন—"প্রবাসী স্বামী, পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লেন স্ত্রী!"

আবুল ভেবেছিল বিদেশ থেকে ফেরার পর স্ত্রীর সঙ্গে নতুন করে জীবন শুরু করবে।

বাসায় ফিরে দেখে দরজায় তালা, ঘরে অন্য পুরুষের চিহ্ন, এবং ড্রয়ারে লুকানো এক চিঠি—

"তুমি টাকা দাও ঠিকই, কিন্তু তুমি মানুষ হয়ে থাকো না। আমি এখন ভালো আছি, নতুন জীবনে।"

---

সৌদি প্রবাসী

সোহেল আট বছর ধরে সৌদিতে। তিনবার দেশে গেছে, মাকে হারিয়েছে, বাবাকে কাঁদতে দেখেছে।

বউ আছে, কিন্তু ফোনে কথা কম।

এবার দেশে এসে দেখে, ঘরে নেই কেউ। প্রতিবেশী ফিসফিস করে বলে—“আপনার বউ তো অনেক দিন ধরেই অন্য কারো সঙ্গে…”

সোহেল মাথা নিচু করে বসে থাকে নিজের উঠানে, এক কাপ চা হাতে—

"দেশে ফেরা মানেই সব ফিরে পাওয়া নয়।"

---

সৌদি প্রবাসীর বেতন ২৫০০ রিয়াল

রশিদের প্রতিদিন শুরু হয় ঘড়ির কাঁটার মতো। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কংক্রিটের ছাদে কাজ, মাথায় রোদ।

বেতন ২৫০০ রিয়াল, তার থেকে ২০০০ দেশে পাঠায়, বাকিটা দিয়ে চলতে হয়।

দেশে বউয়ের চাহিদা—সোনার চেইন, নতুন মোবাইল, বিউটি পার্লার।

রশিদ প্রতিবারই নিজের নতুন জুতা কিনে না, পুরানাটা কেটে গেলে সেলাই করে।

কিন্তু একদিন তার ভাই বলল—"ভাই, ভাবি তো আর তোমার কথা বলে না, এখন নতুন মোবাইল এসেছে, এক যুবকের গিফট নাকি!"

রশিদের তখন মনে হয়, এই ২৫০০ রিয়াল কী কেনে? ভালোবাসা, না বেইমানি?